নারী নরে, নরে নারী,নহে দূর-দূরান্তরে
কদাচিৎ নারী-নরে সু-সম্পর্ক মতান্তরে।
নর চিত্তে চিত্তাকর্ষক নারী যুগ যুগান্তরে,
নারীহীনে নরকুল নরকীট আপন ঘরে।
নারী রূপবতী সুশোভিত পুষ্পসম,
নর বিহনে নারী’র দুস্তর প্রিয়তম।
নির্বিঘ্ন নারী,কর-কমলে চাপিয়া নর হস্ত
নর-নারী,নারী-নর ভালোবাসিয়া গৃহস্থ।
নারীহীনা নর,নরহীন নারী নহে দরকারী,
নারীহীনে নাহি প্রয়োজন কাড়ি কাড়ি টাকাকড়ি ।
নারী;গৃহে ই নহে, নর-অন্তরে অন্তর্ভুক্ত,
নর রন্ধ্রে রন্ধ্রে চিরকাল নারী ই সংযুক্ত।
নরপিশাচে গন্য করে নারী চাতকিনী তুল্য,
ইহা কদাচিৎ। তারা,দেয় নি নারী’র মূল্য।
নারী করে কাড়াকাড়ি হায়েনার মত শোভে,
তারা নারী নহে,মৃত লাশ, মরে লোভে।
কিছু নর-নারী বিবাদ ঘটায় বিপজ্জনক তারা,
নারী-নর যেন সর্পী-নেউলে জাত কোনো গৃহহারা।
আপন দম্ভে পায়ে প্রেম দলিয়াছে যত নারী,
তাহারাই ঐ নারীবাদী মুখে বুলি বোলে কাড়ি-কাড়ি।
আপন দর্পে দমনপীড়ন করিয়াছে যত নরে,
হুংকারে তারা ধর্ষণকারী কাঁদায় প্রিয়তমা’রে।
ভাবিয়া কহো হে নর!নারী যদি নাহি রহে ;
বাহির-ভেতরে কামনা তাড়ণা কে বা সহে?
ভাবিয়া কহো হে নারী!নর যদি নাহি থাকে,
জলে-স্থলে কে বা তোমারে বক্ষে চাপিয়া রাখে?
কহো নর!এমন সুধা কোথায় পাইবে আর
নারী রস কত সু-মধুর অমৃত কামনার !
কহো নারী! তব সরস সুধা করিবে কে পান?
কাহারে তৃপ্ত করিয়া সহ্যায় হইবে হে অজ্ঞান ?
নারী ধ্যান,নারী জ্ঞান,নর শুদ্ধ নারী’র তরে
নর ধর্ম,নর ই কর্ম,মাখামাখি একেবারে।
লাগে কুরুক্ষেত্র!নর-নারী,সদাই যুদ্ধরত,
প্রেমহীন কিছু নারীবাদী বিবাদ লাগায় অবিরত।
যেন খেঁকশিয়ালের হুক্কাহুয়া সদা ই জামাই-বধু,
পবিত্র দুই আত্মায় মরক লাগায় শুধু শুধু।
হইতে পারে কতক নারী পুরুষ গিয়াছে ছাড়ি,
তাই বলে কি দ্বি-মুখী প্রেমে লাগিয়াছে মহামারী?
আমি পুরুষ। নারীবাদী নহি,নারীবাদী কা-পুরুষে।
নারীবাদী নরে ঝগড়া লাগায়,নারী’কে না ভালোবাসে।
নারী সুন্দর মুগ্ধ হ’য়ে নারী মুখে চেয়ে রই,
পুরুষ হইয়া নারীবাদী আমি কেমন করিয়া হই?
আমি নরোত্তম। সত্য কহিবো,নারী সুন্দর মোর চোখে,
আমি ভালোবাসি নারী,যারা নরে রহিয়াছে সুখে-দুঃখে।
ওসব বাক্য কর্ণে কর্ণে করিওনা কানাকানি,
নর-নারী ভাব ভারি,অভাবেও রাজা-রানী।