ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নিবার্হী সংসদের সদস্য নিবার্চিত হয়েছেন কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার কৃতি সন্তান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মেধাবী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আলম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায় তাকে সদস্য ঘোষণা করার পর হোমনা থানায় তার পরিবার এলাকাবাসী ও নিজ প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভাকাঙ্খীদের মাঝে বইছে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের হাওয়া। এর আগে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শৈশব জীবনে তিনি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়নের এক মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তিনি চান্দের চর ইউনিয়নের চান্দের চর গ্রামের হাজী আব্দুল অহিদ এর পঞ্চম সন্তান। শৈশব থেকেই মোহাম্মদ আলম অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এবং ছাত্রজীবন থেকে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।
বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় সক্রিয় ছিলেন। ২০১২সালের শুরু থেকে প্রায় ১০বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। তাছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন যেমন – জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসি ইউনিটের দীর্ঘ দিন ক্যাডেট সার্
সার্জেন্ট হিসাবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন,মেম্বার বাঁধন ইউনিট,সমাজকর্ম বিভাগের স্যোসাল ওয়ার্ক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের শিক্ষানবিশ গবেষণায়। তাছাড়া নিজ এলাকায় ৪ নংচান্দের চর ইউনিয়ন মানবতার ফেরিওয়ালা সংগঠনের উদ্যোগ হিসেবে মানবতার কাজে বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি তিনি করোনা মহামারি দেশের সংকটময় মুহূর্তে নিজ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের চান্দের চর ইয়াং কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় নিজের জীবনের চিন্তা না করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভাইদেরকে নিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামুলক কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি ২০১৪ সালে ৪ নং চান্দের চর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উক্ত কমিটির সভাপতি ছিল আবু তালিব ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাঈনুউদ্দিন ।
তাঁর পরিবার হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত।মোহাম্মদ আলমের বাবা একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ১৯৭১ সালে কর্মরত সময় মজিব আর্দশের সেনাদেরকে যুদ্ধের পূর্ব মূহুর্তে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে জেলে বন্দি করে রাখেন, তারপর যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় দীর্ঘ ২৯ মাস পরে পাকিস্তানের জেল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ ফিরে আসেন। এরই মাঝে পরিবার করুন সংকটময় জীবন যাপন করে। এমনকি পরিবারে মনে করেছিল বাবা সংগ্রামের সময় গুলি খেয়ে মারা গিয়েছে ইত্যাদি নির্মম বেদনাদায়ক পরিস্থিতি ছিল পরিবারে।
নবকালকে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নব-নির্বাচিত সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে সর্বদা মানবতার দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী এটা আমার বড় পরিচয়। মানবতার মা, বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ।