আনিকা ইশরাফ ইকরা:
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এবারের যেসব শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তাদের ভাষ্যে স্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। এতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করল। আজ ৩০/৭/২২ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ক ইউনিটের( বিজ্ঞান বিভাগের ) পরীক্ষায় মাধ্যমে শুরু হলো। গতবারের থেকে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা আয়োজনে বিশেষ কিছু পার্থক্য দেখা যায়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে আধা আগে থেকে প্রবেশের বিধানটির ব্যতিক্রম এইবার পরিলক্ষিত হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র আধা ঘন্টা আগে প্রবেশ করতে হলে প্রতিবার প্রতিটি কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের ভিড় তৈরি হয়। এতে করে কেন্দ্রের প্রবেশমুখে বিশাল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো। এবারে ঐ রকম বিশৃঙ্খলা এরানোর জন্য সকাল ৮:৩০ থেকেই প্রবেশপত্র দেখিয়ে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে অবস্থান করতে পেরেছে যে যার সুবিধা মতো। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ক ইউনিটে ৬৪০০ হাজারের মতো। যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সীট ১২০০০ হাজারের মতো। এছাড়াও যানজট এড়ানোর জন্য ১০ টার পরীক্ষার সময় ১২ টা করা হয়। যাতে করে কোনো পরীক্ষার্থীর পৌঁছাতে সমস্যা না হয়। এবার দেশের বড় বড় স্কুল গুলোতেও সীট নেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ এবং নটোরডেম কলেজেও সীট পড়েছে। এ বিষয় গুলো ফুটে উঠে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের বক্তব্যে।
পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান, খুব শীঘ্রই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। যেহুতু ১৯ টি কেন্দ্র হয়েছে এবার,সবগুলোর একত্রে কাজ সম্পন্ন করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফল প্রকাশ করা হবে।
এছাড়াও কেন্দ্রের মেইন গেটের পাশে পরীক্ষার্থীদের সাহায্য বিনামুল্যে মাস্ক কলম বিতরণ করা হয়। জেলা ভিক্তিক হেল্প ডেস্ক প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের অনেক সুবিধা করেছে বলে ফুটে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীদের ভাষ্যে।
আরো লক্ষ্য করা করা যায় রোভার স্কাউট, বি এন সি সি ক্যাডেট আরও সেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস মুখোরিত ছিল। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ পরীক্ষার্থীদের শৃঙ্খলভাবে আগমন এবং বর্হিগমনে সহযোগিতা করেছে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়নি পরীক্ষা কেন্দ্রে। সবমিলিয়ে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের বক্তব্যে ফুটে উঠে এ বিষয়গুলো।এছাড়াও অভিভাবকদের ভাষ্যে ফুটে উঠে স্বস্তি এবং শৃংখলা।