• যোগাযোগ
  • আমাদের সম্পর্কে
  • শর্তাবলী
  • গোপনীয়তার নীতি
দৈনিক গনসূর্য
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • দেশের খবর
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • ফিচার
  • শিক্ষা
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • দেশের খবর
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • ফিচার
  • শিক্ষা
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
দৈনিক গণসূর্য
Home দেশের খবর

আমনের মৌসুমে সারের হাহাকার

by দৈনিক গণসূর্য
July 28, 2022
Reading Time: 1 min read
A A
0
17
SHARES
287
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ফয়সাল আরেফিন, পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ে গত কয়েক মাস ধরে চলা সার সংকট আমনের ভরা মৌসুমে এসে চরম আকার ধারণ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

তাদের অভিযোগ, ডিলারদের গুদামে সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প কিছু জনসমক্ষে বিতরণ করা হলেও তা জুটছে না সবার ভাগ্যে। গুদাম থেকে সার পাওয়া না গেলেও গোপনে বেশি দামে চলছে বেচাকেনা।

ডিলারদের দাবি, তারা যা বরাদ্দ পাচ্ছেন, তা সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে যারা কিনে এনে বিক্রি করছেন, তারা বেশি দাম নিচ্ছেন।

কৃষি অধিদপ্তর বলছে, বিষয়টি কর্মকর্তারা মনিটর করছেন। কেউ অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলায় আমনের জন্য জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষিরা। অনেকে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করেছেন। এই সময়েই চরম আকার ধারণ করেছে সারসংকট। ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি কোনো সারই পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বস্তা সারে বেশি নেয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। বাধ্য হয়েই বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।

চাষিরা বলছেন, ইউরিয়ার সরকার নির্ধারিত মূল্যে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা, টিএসপির ১ হাজার ১০০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকা হলেও ইউরিয়া ১ হাজার ১০০ টাকা, টিএসপি শ্রেণিভেদে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, এমওপি ১ হাজার ৪০০ টাকা, ডিএপি ১০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর বাধ্য হয়েই চাষিদের এ দামে সার কিনে জমিতে দিতে হচ্ছে।

প্রতি বিঘা জমিতে ইউরিয়া ৭ কেজি, টিএসপি ১০ কেজি, পটাশ ২০ কেজি, ডিএপি ১৫ কেজি দেয়ার নিয়ম থাকলেও এখন পরিমাণমতো তা দিতে পারছেন না অনেকে।

জানা গেছে, জেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ১১৩ জন ও বিসিআইসির ৪৭ জন ডিলারকে জুলাই মাসে ৩ হাজার ৪৩৭ টন ইউরিয়া, ১ হাজার ৮৬ টন টিএসপি, ১ হাজার ১৫০ টন ডিএপি ও ১ হাজার ২০৬ টন এমওপি বরাদ্দ দেয়া হয়, যা চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

চলতি আমন মৌসুমের এক মাস পেরিয়ে গেলেও চাষাবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫০ শতাংশ। কয়েক মাস ধরে এই সংকট চললেও কৃষি বিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ কৃষকদের। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমন চাষাবাদ ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

এমন পরিস্থিতির জন্য সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যকে দায়ী বলে মনে করেন সদর উপজেলার অমরখানা এলাকার কৃষক শরিফ মিঞা। বলেন, ‘যখনই আমরা আমন চাষাবাদ শুরু করি, তখনই শুরু হয় সার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। বেশি দাম দিলেই আবার সার পাওয়া যায়।’

এক প্রকার বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দামে তাদের সার কিনতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার পাইনি। প্রতিবাদ করতে গেলেই বলে সার নেই। নিরুপায় হয়ে আমাদের অতিরিক্ত দাম দিয়ে সার কিনে জমিতে দিতে হচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই।’

ক্ষোভে আমন চাষই বন্ধ করে দিয়েছেন একই এলাকার কৃষক মহসিন আলী। বলেন, ‘প্রতি বছর সারের এই সংকট তৈরি হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা। তাই এবার আমন চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছি।’

কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিলারদের কাছে গেলে তারা বলে সার নেই। আবার অতিরিক্ত টাকা দিলেই সার বের হচ্ছে। এভাবে পকেট কাটা যাচ্ছে আমাদের, আর লাভ করছেন ডিলাররা।’

জেলার কিছু ডিলার এই সিন্ডিকেটের হোতা বলে দাবি করেছেন এক খুচরা সার বিক্রেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সার বিক্রেতা বলেন, ‘পঞ্চগড়ের বড় কয়েকজন ডিলারই এই সিন্ডিকেটের হোতা। তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের নামে একাধিক লাইসেন্স করে সার উত্তোলন করে বেশি দরে বিক্রি করছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে বস্তায় ৫০ টাকা লাভে বিক্রি করছি মাত্র।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ডিলার বলেন, ‘পঞ্চগড়ে চাহিদার অর্ধেকও সার পাওয়া যাচ্ছে না। অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি কৃষি বিভাগ গোপন করছে।’ তারা সঠিক জায়গায় এই সংকটের কথা তুলে ধরছে না বলে মনে করেন তিনি।

পঞ্চগড় ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘জেলায় আমনের সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ সার চলে যাচ্ছে চা চাষিদের কাছে। চায়ের জন্য সার বরাদ্দ নেই। তাই এই সংকট দেখা দিয়েছে।

‘সার যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, তা দিয়ে আমরা কৃষকদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। আমরা ডিলাররা যে পরিমাণ বরাদ্দ পাচ্ছি, তা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে যারা কিনে এনে বিক্রি করছেন, তারা বেশি দাম নিচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১০ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ মাসেই আগস্ট মাসের সারের বরাদ্দ চলে এসেছে। এ ছাড়া আমরা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি।’

সারের সংকট হবে না- এমন আশা পোষণ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটর করছেন। কেউ অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Previous Post

মাঠে আসুন, খেলা হবে: বিএনপিকে কাদের

Next Post

ওরাও স্বপ্ন দেখে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার

Next Post

ওরাও স্বপ্ন দেখে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Trending
  • Comments
  • Latest

জবি ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

January 31, 2023

ছাত্রলীগের সম্মেলন :ঢাবির বাহিরে আসতে পারে শীর্ষ এক পদ

November 24, 2022

জজ হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে নুরুল্লাহ সিদ্দিকী নিলয়

February 2, 2023

মোক্তাদির চৌধুরী এমপি “সভাপতি” পদে নির্বাচিত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা

November 15, 2022

জবিস্থ রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণের নবীনবরণ ও ইফতার মাহফিল

0

লায়ন্স ক্লাবের গভর্নর হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তুফা কামাল

0

বাড়ানো হচ্ছে এশিয়া কাপের প্রাইজজমানি

0

জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাকে হুমকির অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

0

জবিস্থ রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণের নবীনবরণ ও ইফতার মাহফিল

March 29, 2023

শিক্ষার্থীদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না || জাহাঙ্গীর মৃধা

March 22, 2023

প্রকাশনা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন মহিউদ্দীন আহমদ

March 15, 2023

নড়াইল মানবিক পরিষদের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

March 12, 2023

Recent News

প্রতিদিন ডিম খেলে ক্ষতি হয়!

July 28, 2022

‘প্রতিবাদী’ হিরো আলমের ‘জেল হবে না ফাঁসি হবে’

July 29, 2022

বেঞ্চের খেলোয়াড়রা প্রস্তুত হও!

September 24, 2022

মেয়েদের তুলনায় পুরুষ সবচেয়ে কম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

July 27, 2022
Facebook Twitter Google+ Youtube RSS

 

সম্পাদক ও প্রকাশক – আবু মোহাম্মদ সাজ্জাদ

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক – লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল

ঠিকানা

দৈনিক গণসূর্য
হামিদ টাওয়ার (১৫ তম তলা)
২৪, গুলশান বা/এ
সার্কেল – ২, ঢাকা – ১২১২
ফোন: ০১৫৬৭৮৬০৭৬৩

ফ্যাক্স – ৯৯-০২-৮৮৩১৮০৩

নিউজরুম – news.gonosurja@gmail.com
বিজ্ঞাপন – gonosurja@gmail.com

© ২০২২ স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | এই পত্রিকার কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

No Result
View All Result
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • দেশের খবর
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • ফিচার
  • শিক্ষা
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
  • অন্যান্য

© ২০২২ স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | এই পত্রিকার কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি